রাশিয়ায় খেলতে যাওয়ার আগে এডেন হ্যাজার্ড বলেছিলেন বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্মকে এবারের বিশ্বকাপেই অসাধারণ কিছু একটা করতে হবে। কারণ বেলজিয়ামের বর্তমান দলটি তাদের যে কোন সময়ের সেরা দল। এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট হয়েও শিরোপার পরিবর্তে আজ বেলজিয়ামকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেন্ট পিটার্সবার্গে মাঠে নামতে হচ্ছে তৃতীয় হওয়ার লড়াইয়ে।
বেলজিয়াম এবার হ্যাজার্ড, কেভিন ডি ব্রুইন ও রোমেলো লুকাকুর মতো খেলোয়াড়দের নিয়ে বিশ্বকাপে এসেছিল। এর চেয়ে ভাল দল তাদের আগে কখনো ছিল না। তারপরও কোচ রবার্তো মার্টিনেজের দলটি সেমিফাইনালে স্যামুয়েল উমতিতির গোলে ফ্রান্সের কাছে ১-০ গোলে হেরে শিরোপা লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে। এটা বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্মের জন্য হতাশার। এর আগে ২০১৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে বিদায় নিয়েছিল বেলজিয়াম। ২০১৬ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপেও এই পর্যায় থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল বেলজিয়ামকে।
বিশ্বকাপে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলায় নামছে বেলজিয়াম। আগেরটি ছিল ১৯৮৬ সালে। সেবার তারা ফ্রান্সের কাছে ৪-২ গোলে পরাজিত হয়েছিল। এবার তাই জয় চায় বেলজিয়াম। এ ব্যাপারে ডিফেন্ডার থমাস মুনিয়ের বলেন, আমরা গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ছিলাম। কাজেই আমরা তাদের আবারো হারাতে পারবো। তৃতীয় স্থান এখন ন্যূনতম চাওয়া।
ইংল্যান্ডের কপাল পুড়ে সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ২-১ গোলে হেরে। থ্রি লায়ন্স নামে অভিহিত দলটি এর আগে সর্বশেষ ১৯৯০ সালে সেমিফাইনালে উঠে ওয়েস্ট জার্মানির কাছে হেরেছিল। এরপর ইংলিশরা স্বাগতিক ইতালির কাছে পরাস্ত হয়েছিল তৃতীয় স্থানের লড়াইয়ে। ডিফেন্ডার গ্যারি কাহিলের মতে, এটা একটা অদ্ভুত খেলা। কারণ দুটো দলই খেলতে নামে হতাশাব্যঞ্জক হারের পর। তারপরও খেলাটি থাকে এবং আমাদের খেলতে হয়। দলগতভাবে আমাদের নিজেদের জন্য গর্ব নিয়েই খেলা উচিত। আমার জন্য ব্যাপারটা হলো, তরুণ দলটির দিকে তাকিয়ে ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদী হওয়া।
এ খেলাটিতে স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনের গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন রোমেলো লুকাকু। সেজন্য অবশ্য তাকে বেলজিয়ামের হয়ে অতিমানবীয় কিছু একটা করতে হবে। কেইনের গোলের সংখ্যা এখন ৬। অন্যদিকে লুকাকুর গোলের সংখ্যা ৪। বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে গোল পেলে গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে চলে যাবেন কেইন। আর হ্যাটট্রিক করতে পারলে তার গোল হবে নয়টি যা হবে ১৯৭০ এর পর কোন আসরের সর্বাধিক। ২০০২ আসরে তুরস্ক ও ব্রাজিলের পর একই বিশ্বকাপে কোন দুটি দলের দুবার মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড-বেলজিয়াম।